ঘরে বাইরে : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ঘরে বাইরে (১৯১৬) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত একটি উপন্যাস। এটি চলিত ভাষায় লেখা রবীন্দ্রনাথের প্রথম উপন্যাস। উপন্যাসটি সবুজপত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয় ১৯১৫ সালে। স্বদেশী আন্দোলনের পটভূমিকায় রচিত এই উপন্যাসে একদিকে আছে জাতিপ্রেম ও সংকীর্ণ স্বাদেশিকতার সমালোচনা, অন্যদিকে আছে সমাজ ও প্রথা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নারী পুরুষের সম্পর্ক; বিশেষত পরস্পরের আকর্ষণ-বিকর্ষণের বিশ্লেষণ।
স্বামী নিখিলেশের প্রতি অনুরাগ সত্ত্বেও এই কাহিনীর নায়িকা বিমলা বিপ্লবী সন্দীপের দ্বারা তীব্রভাবে আকর্ষিত। একদিকে বাইরে জাতীয় আন্দোলনের উত্তেজনা অন্যদিকে তিনটি মানুষের জীবনে টানাপোড়ন – রাজনীতি ও ব্যাক্তিগত জীবনের দ্বন্দ্ব এই দুই মিলে উপন্যাস।

ঘরে বাইরে – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্য ও দর্শনের সংকলন

ঘরে বাইরে হলো বাংলা সাহিত্যের অমর কবি ও দার্শনিক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত একটি অনবদ্য সংকলন, যেখানে তিনি ঘর-সংস্কৃতি, সমাজ, জীবন ও প্রকৃতির বিভিন্ন দিক নিয়ে লেখা কবিতা ও প্রবন্ধ একত্রিত করেছেন।

এই গ্রন্থটি রবীন্দ্রনাথের গভীর চিন্তা ও মানবজীবনের সূক্ষ্ম অনুভূতিকে তুলে ধরে। ‘ঘরে বাইরে’ আমাদের জীবন দর্শন ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের প্রতি তার দৃষ্টিভঙ্গিকে অনুপ্রাণিত করে। কবিতাগুলোতে আধুনিকতা ও ঐতিহ্যের সেতুবন্ধন স্পষ্ট, যা বাংলা সাহিত্যকে নতুন মাত্রা দেয়।

রবীন্দ্রনাথের জীবন ও সাহিত্য

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, যিনি ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন, বাংলা সাহিত্যকে বিশ্ববিখ্যাত করেছেন। তাঁর রচনা কেবল সাহিত্যই নয়, মানবতাবোধ ও প্রকৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধার প্রকাশ। ‘ঘরে বাইরে’ তার সেই সাহিত্যিক ও দার্শনিক মননের প্রতিফলন।

গ্রন্থের বৈশিষ্ট্য

এই সংকলনে রবীন্দ্রনাথের কবিতা ও প্রবন্ধ রয়েছে যা ঘরের শান্তি থেকে শুরু করে বাইরের জগৎ পর্যন্ত বিস্তৃত। প্রতিটি রচনায় জীবন ও প্রকৃতির রূপ ও রহস্যের অন্বেষণ দেখা যায়। গ্রন্থটি পাঠকের মন ও চেতনার গভীরে পৌঁছে যায়।

সাহিত্যপ্রেমীদের জন্য মূল্যবান সম্পদ

‘ঘরে বাইরে’ বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন। এটি শিক্ষার্থী, গবেষক ও সাধারণ পাঠকের জন্য এক অনন্য সম্পদ, যারা রবীন্দ্রনাথের রচনা ও দর্শন জানতে ইচ্ছুক।

উপসংহার

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ঘরে বাইরে’ একটি শ্রেষ্ঠ সাহিত্যকর্ম যা আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রের সাথে সংযোগ স্থাপন করে। এটি বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি অমূল্য অংশ এবং সমকালীন পাঠকদের জন্যও সমান প্রাসঙ্গিক।

তথ্যসূত্র:
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর – উইকিপিডিয়া