কবর(হার্ডকভার) by মুনীর চৌধুরী , আজাদ চৌধুরী (সম্পাদক)
প্রিন্ট / প্রকাশনী: হাওলাদার প্রকাশনী
- Estimated Delivery : Up to 3 business days
- Free Shipping : On all orders over 1500 BDT
নাটকের গল্পটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পরবর্তী সময়ের একটি দুঃখজনক চিত্র উপস্থাপন করে। নাটকের মূল চরিত্র দুটি—একজন মুক্তিযোদ্ধা, যার শারীরিক ও মানসিকভাবে যুদ্ধের ক্ষত তাকে অসহায় করে তোলে, এবং তার পরিবার, যারা তার এই পরিবর্তিত অবস্থাকে মোকাবিলা করতে গিয়ে নিজেদের জীবনের সংকটের সম্মুখীন হয়। “কবর” একটি মানবিক নাটক, যেখানে যুদ্ধের পরবর্তী মানসিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতার যন্ত্রণা ফুটে ওঠে। নাটকের প্রধান চরিত্রের মধ্যে রয়েছে এক ধরনের দ্বন্দ্ব, আত্মবিশ্বাসের অভাব, আস্থাহীনতা এবং গভীর হতাশা। মুনীর চৌধুরী চরিত্রগুলোকে এমনভাবে নির্মাণ করেছেন, যেন তারা শুধু নিজেদের জীবনের জন্যই লড়াই করছে না, বরং বৃহত্তর মানবিক মূল্যবোধ এবং স্বাধীনতার প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ও মনোভাব প্রকাশ পাচ্ছে। একজন মুক্তিযোদ্ধার চরিত্রে, যারা নিজের দেশের জন্য প্রাণ দিলেও ফিরে আসার পর তাদের অস্তিত্বের মূল্য খুঁজে পায় না—এমন গভীর শোকার্ত অবস্থা মুনীর চৌধুরী অত্যন্ত সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
মুক্তিযুদ্ধের পর, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বছরগুলোর যন্ত্রণা, বিভাজন এবং মানুষিক কষ্টের গভীরতা নাটকটির মধ্যে অত্যন্ত সতর্কতা ও সাবধানতার সাথে প্রকাশ পেয়েছে। কবরের প্রতীকী অর্থ হলো শোক, মৃত্যু, এবং প্রতিশোধের ক্ষত—এগুলো মানুষের মনোজগতকে রক্তাক্ত করে তোলে।”কবর” নাটকটিতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী সময়ের সামাজিক এবং রাজনৈতিক বাস্তবতাকে চমৎকারভাবে তুলে ধরেছে। এটি শুধু একটি নাটক নয়, বরং একটি শক্তিশালী মানবিক দলিল। এটি আমাদের সমাজের বিভিন্ন দিকের প্রতি মনোযোগী হওয়া এবং একে অপরের প্রতি সহানুভূতির প্রয়োজনীয়তা জানিয়ে দেয়। “কবর” একটি আত্মবিশ্লেষণের সৃষ্টি, যেখানে মুক্তিযুদ্ধের পর মানুষের অস্তিত্বের সংকট এবং মানসিক যুদ্ধ একাকার হয়ে যায়।
এই নাটকটি যারা গভীরভাবে চিন্তা করতে পছন্দ করেন এবং যুদ্ধ পরবর্তী জীবনের অনুষঙ্গিক ক্ষতগুলো দেখতে চান, তাদের জন্য এটি এক অপরিহার্য রচনা।
Reviews
There are no reviews yet.